রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন
মুহা. রুহুল আমীন :
মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের ব্যাপারে বৈশ্বিক সমাজের মৌনতা, রোহিঙ্গা নির্যাতনকারী মিয়ানমারীয় সেনাবাহিনী ও সরকারের প্রতি কিছু বৃহৎ শক্তির সমর্থন এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের মহানুভব ও উদার পররাষ্ট্রনীতির সুযোগ নিয়ে মিয়ানমারের সরকার ও বৌদ্ধ মৌলবাদীরা রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এই নিষ্ঠুরতা থামাতে আন্তর্জাতিক সমাজের আচরণ এক ধরনের তোষণনীতির বৈশিষ্ট্য বহন করছে।
অনতিবিলম্বে এ তোষণনীতি পরিহার করে নিপীড়কদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ কঠোর পদক্ষেপ না নিলে রোহিঙ্গা নির্যাতন কখনো বন্ধ হবে না।
শুরু থেকেই মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে এসেছে। বিশ্ব মিডিয়ায় লোমহর্ষক নির্যাতনের সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হলেও দাতা সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা ও সাংবাদিকদের রাখাইনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাপে বাংলাদেশ যখন দিশাহারা, রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধানে যখন বিশ্ব মানবসমাজ সোচ্চার, তখন মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক উপায়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পালাক্রমে ফেরত নেওয়ার কূটনৈতিক উদ্যোগে শামিল হয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং গত ১৫ জানুয়ারি দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবদের নেতৃত্বে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডাব্লিউজি) মিটিং নেপিডোতে অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে প্রত্যাবাসনের জন্য মাঠপর্যায়ের ব্যবস্থা সম্পর্কিত ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো রকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা সমাপ্ত হয়। আন্তর্জাতিক সমাজকে নিদারুণ উদ্বেগে নিক্ষেপ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার এ অনিশ্চয়তা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। একদিকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে দুই দেশের আলাপ-আলোচনা চলছে, অন্যদিকে মিয়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকছে। মিয়ানমারের এ লুকোচুরি খেলার ছল দেখে যে কেউ বুঝতে পারে মিয়ানমার কখনো এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী ও আন্তরিক হবে না, যতক্ষণ না দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
বারবার অস্বীকার করলেও সত্য কখনো চাপা থাকে না। গত ১০ জানুয়ারি মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লিয়াংয়ের ফেসবুক পোস্টে রোহিঙ্গা হত্যায় সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ত থাকার স্বীকারোক্তি প্রকাশিত হয়েছে। তাদের একটি তদন্তদলের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে মংডুর কাছে ইনদিন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে ধরার পর সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধরা মিলে তাদের নির্যাতন ও হত্যা করে গণকবর দেয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী যে নির্মম নির্যাতন ও অন্যায় করেছে, তার বিরল স্বীকারোক্তি এটা। মিয়ানমারকে বিশ্ব এতই তোয়াজ করছে এবং তোষণ করছে যে ইনদিন হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তির পরও কূটনৈতিক সূত্রগুলো আশঙ্কা করছে যে সামরিক বাহিনীকে নিরপেক্ষ বিচারের আওতায় আনা কঠিন হবে।
এ প্রশ্নের উত্তর কি কেউ জানেন যে কেন মিয়ানমারের অত্যাচারী শাসক ও সৈন্যদের বিরুদ্ধে বিশ্বসমাজ কঠোর হচ্ছে না? আগে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। তাহলে এ সমস্যা সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবে। চীন, রাশিয়া, ভারতসহ কিছু বিশ্বশক্তি মিয়ানমারকে সমর্থন দিলেও ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্সসহ অনেক বিশ্বশক্তি মিয়ানমারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে রাখাইনের গণহত্যার অন্যতম মূল হোতা এক শীর্ষ সামরিক কমান্ডারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ করতে হলে নির্যাতনকারীদের অপরাধ শনাক্ত ও সংজ্ঞায়ন করতে হবে। অপরাধীদের অপরাধকে প্রমাণ করার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, তোষণনীতি পরিহার করে সর্বব্যাপী আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করতে হবে। আর এ কাজটি করতে হবে বাংলাদেশকে, তার কূটনৈতিক নৈপুণ্য দিয়ে, বিশ্বসমাজকে পাশে এনে অত্যাচারী মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রশমন প্রক্রিয়ার সৃজনশীল, স্বচ্ছ ও সমুজ্জ্বল কূটনীতি প্রণয়ন করতে হবে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর সে দেশের সরকার, সেনাবাহিনী, সুধীসমাজ ও বৌদ্ধ মৌলবাদীদের চালানো সমন্বিত, সুশৃঙ্খল ও পরিকল্পিত জুলুম-নির্যাতনের সংজ্ঞা, প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে বেশ এলোমেলো ধারণা লক্ষ করা যাচ্ছে। ফলে সেই নির্যাতন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব হচ্ছে। সবচেয়ে প্রয়োজন হলো রোহিঙ্গাদের ওপর যে অত্যাচার চলছে, তার স্বরূপ উন্মোচন করা এবং অনতিবিলম্বে এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা।
কোনো বৈশ্বিক ইস্যুর ধারণাগত শূন্যতা যেমন ধারণাগত বিপর্যয় তৈরি করে, তেমনি ওই ইস্যুর সমাধানের পথকেও বিপর্যস্ত করে। মিয়ানমারের সামরিক সরকার এবং বর্তমানের গণতান্ত্রিক (?) সরকারের আমলে সে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো বিভিন্নভাবে প্রান্তিকীকরণের কবলে পড়লেও রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের কাহিনি অবিশ্বাস্য, মর্মন্তুদ ও বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। তাদের নাগরিকত্ব হরণ এবং শিক্ষা, চিকিৎসা, মানবিক মর্যাদাসহ অন্যান্য মৌলিক মানবিক অধিকারগুলো থেকে বছরের পর বছর ধরে বঞ্চিত করে গত প্রায় সিকি শতাব্দী ধরে তাদের ওপর বহুমুখী নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ২০১২ সালের পর থেকে হত্যা, ধর্ষণ, গৃহে অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। পরিতাপের বিষয় হলো, সিকি শতাব্দীর এ জুলুম-নির্যাতনকে শনাক্ত করে, তার আইনি বৈশিষ্ট্য অন্বেষণ করে, তার যথার্থ সংজ্ঞায়ন করে, তার মৌলিক ধারণা বিশ্লেষণ করে বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত, নিষ্পেষিত জনগোষ্ঠীর পাশে এসে যথার্থভাবে এখনো কেউ দাঁড়ানোর দায়বদ্ধতা উপলব্ধি করেনি। বৈশ্বিক ফোরামে শুধু কূটনৈতিক সৌজন্য রক্ষার তাগিদে কূটনৈতিক বক্তব্য, বিবৃতি দিয়েই বিশ্বসমাজ তার দায়িত্ব শেষ করছে।
বিশ্বসমাজের কেন্দ্রীয় সংস্থা জাতিসংঘ রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে বেশ পাশ কাটিয়ে গেছে। এর আগে সংস্থাটি রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত অভিযানকে আক্ষরিক অর্থেই জাতিগত নিধনযজ্ঞ (Textbook example of ethnic cleansing) হিসেবে অভিহিত করেছিল। এ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। শুধু দায়সারাগোছের বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সাধারণ পরিষদের ‘থার্ড কমিটিতে’ এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হলেও সে তো সাধারণদের (?) কথা, যা অসাধারণদের (?) চাপে কখনো কার্যকর হতে পারবে না।
মিয়ানমারে যে লোমহর্ষক নির্যাতন চলছে, বিশ্বের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো তাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যা হিসেবে বিবেচনা করে আসছে।
আইসিআরসি রোহিঙ্গা নির্যাতনের নেপথ্যে সে দেশের সরকার, সেনাবাহিনী, নিরাপত্তা বাহিনীসহ সব সম্প্রদায়কে পরোক্ষভাবে দায়ী করে তাদের সমন্বিত উদ্যোগেই শুধু ওই নির্যাতন বন্ধ হতে পারে বলে মত দিয়েছে। ঢাকা সফরকালে গত ২২ নভেম্বর সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক পরিচালক বরিস মাইকেল রাষ্ট্রের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে একটি গভীর চুক্তির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের সম্ভাবনা ব্যাখ্যা করলেও তিনি কৌশলে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার না করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের জাতিগত পরিচিতি (NID) প্রকাশে দ্বিধান্বিত মনোভাব প্রদর্শন করেছেন।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রচারক, নির্ধারক ও প্রভাবক রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত মুখে শক্ত অবস্থান নেয়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে একটি শব্দও উচ্চারণ না করে বিশ্বনেতা হিসেবে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু এরপর দেশটির নেতারা বেশ সোচ্চার হয়েছেন।
সিনেটর জেফ মার্কেলের নেতৃত্বে একটি কংগ্রেস প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফরের পর গত ২১ নভেম্বর নেপিডোতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করে যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ চালানোর কারণে তারা দেশত্যাগ করে বাংলাদেশে যেতে বাধ্য হচ্ছে। ইয়াঙ্গুনের সংবাদ সম্মেলনে জেফ মার্কেল দাবি করেন, দেশটিতে জাতিগত নিধনের সব চিহ্নই রয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন রোহিঙ্গা নির্যাতনকে জাতিগত নিধন হিসেবে স্বীকার না করলেও কংগ্রেস প্রতিনিধিদলের সরেজমিন তদন্ত ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের পর গত ২২ নভেম্বর টিলারসন বলেন, ‘প্রাপ্ত তথ্যগুলো সতর্ক ও বিশদ আলোচনার পর এটা স্পষ্ট যে উত্তর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে।
গত আগস্টের ২৫ তারিখ থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনী সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক অভিযান শুরুর এক মাস পর দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গত সেপ্টেম্বরে ফ্রান্স মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনেছিল। ব্রিটেন, জার্মানিসহ কিছু ইউরোপীয় দেশ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ এবং অতীব অত্যাচার হিসেবে বর্ণনা করেছে।
রোহিঙ্গা নির্যাতনকে এখন আর জাতিগত নিধন ভাবার কোনো কারণ নেই। কেননা সেনাবাহিনীর স্বীকৃতির পর আত্মস্বীকৃত জাতিগত নিধনকারীদের ‘গণহত্যাকাণ্ড’ প্রমাণিত হয়েছে। এখানে মনে রাখা দরকার যে ‘রোম স্ট্যাটুট অব দি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট’-এর আইনে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ কেন অপরাধী হিসেবে পরিগণিত হয় না। তাহলে কি মিয়ানমারের অপরাধ ঢাকতেই দেশটির কর্মকাণ্ডকে জাতিগত নিধন হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তর কি কেউ জানেন?
বাংলাদেশের অনুসরণীয় প্রাঞ্জল ও প্রাজ্ঞ কূটনীতির অগ্রাধিকার হলো মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে প্রমাণ করার উদ্যোগ নেওয়া। কারণ, আন্তর্জাতিক আইনে ‘গণহত্যাকে’ অপরাধ হিসেবে স্বীকার করা হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ কথা ভুললে চলবে না যে রাওয়ান্দা, বসনিয়া, কসোভো ও দারফুরের নির্যাতনকেও একসময় আন্তর্জাতিক সমাজ ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে অভিহিত করে অত্যাচারীদের হাত শক্তিশালী করেছিল। কিন্তু অনতিবিলম্বে বাস্তবতার চাপে বসনিয়া, কসোভো ও রাওয়ান্দার নির্যাতনকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে গণ্য করতে হয়েছে, যার প্রত্যক্ষ ফল শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। শুধু দারফুরের নির্যাতনকে এখনো পর্যন্ত ‘গণহত্যা’ হিসেবে পরিগণিত করা হয়নি বলে সেখানে রক্তের বন্যা বইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ইইউসহ অন্য বৃহৎ শক্তিবর্গ এবং আন্তর্জাতিক সমাজ যাতে রোহিঙ্গা নির্যাতনকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, সেই পথে বাংলাদেশের মিয়ানমার কূটনীতির যাত্রা করা উচিত। মিয়ানমারের লম্পট ও নিষ্ঠুর সেনানায়কদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করার বহুপাক্ষিক কূটনীতির অন্বেষণ এখন সময়ের দাবি। শুধু তোষণ ও তোয়াজনীতির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে না—এ কথা দিবালোকের মতো সত্য।
লেখক : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
mramin68@yahoo.com
কালের খবর/১৩/২/১৮